নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলায় প্রথমবারের মতো শিক্ষকতা পেশায় চাকরি পেয়েছেন পাহাড়ের অবহেলিত সাঁওতাল জনগোষ্ঠির উচ্চশিক্ষার্থী চাঁদনী সাঁওতাল।
চাঁদনী পানছড়ি সাঁওতাল পাড়ার প্রয়াত সুনীল সাঁওতাল ও সুমি সাঁওতালের মেয়ে। জানা যায়, ছোটবেলায় পিতৃহারা চাঁদনী মার সাথে নানা মুনশি সাঁওতালের বাড়িতে আশ্রয় পায়। স্কুলজীবনে জেলা শহরের সরকারি শিশু পরিবার থেকে শিক্ষাজীবনে হাতেখড়ি।
খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালের এসএসসি ও খাগড়াছড়ি
সরকারি কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করে মানবিক বিভাগ থেকে। বর্তমানে
চাঁদনী খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ইতিহাসে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত।
চাঁদনী সাঁওতাল বলেন, চাকরিতে দরখাস্ত করার ব্যাপারে পানছড়ি উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা এবং পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক বিজয় কুমার দেব ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের বিএ শেষবর্ষের ছাত্র
মানিক সাঁওতাল আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে। মূলত তাদের উৎসাহে আমি দ্বিগুণ
উৎসাহিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করেই
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। বিশেষ করে স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল
ত্রিপুরা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীকে চাঁদনী বারবার কৃতজ্ঞতা
জানান।এদিকে সাঁওতাল উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মিন্টু সাঁওতাল জানান, চাঁদনীদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই করুণ। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে একটা সরকারি চাকরি পেয়েছে। তার জন্য আমরা খুবই খুশি। সাঁওতাল উন্নয়ন সংসদ গরিব শিক্ষার্থীদের সব সময় সহায়তা দেয়, চাঁদনীকেও দিয়েছিল।
চাঁদনী জানান, এখন যোগদানপত্র হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি। চাঁদনী শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখাপড়া অব্যাহত রেখে মাস্টার্স শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানান, তিনি পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় বসবাসরত দরিদ্র ও প্রান্তিক সাঁওতালদের জীবন-জীবিকা সম্পর্কে অবহিত। পর্যায়ক্রমে তাঁদের শিক্ষা-কর্মসংস্থান এবং জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
[ বি: দ্র:- এই সংবাদ পত্রে অন্য পরীক্ষার্থীর ছবি ভুল করে ছাপা হয়েছিল যা এফবি আলোচনা ও পরের সংবাদ পত্রে সঠিক ছবি পেয়ে সংযোজন করা হলো । ]
0 comments:
Post a Comment