|
আপডেট: ০১:৫৩, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
| প্রিন্ট সংস্করণ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের
সাহেবগঞ্জ এলাকায় সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত
প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কতিপয়
সদস্যের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে পুলিশের দুজন
সদস্য ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একজন সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে
প্রতিবেদনে এসেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
তদন্তকালে ১০৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ সম্পৃক্ত বলে গণমাধ্যমে আসা খবর ও
ছবি যুক্ত করে রিট আবেদনকারীদের করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪
ডিসেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক
হাকিম মো. শহিদুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর
প্রতিবেদনটি জমা দেন। একটি সূত্র জানায়, প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার আদালতে
জমা দেওয়া হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সোমবার প্রথম আলোকে
বলেন, ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছে বলে একটি
চিঠি পেয়েছি। এতে জানা যায়, প্রতিবেদনটি ৬৫ পৃষ্ঠার, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১
হাজার ১ পাতার নথিপত্র রয়েছে। তবে প্রতিবেদনটি হাতে পাইনি।’
গত বছরের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে
পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার
সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় ওই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০
জন আহত ও কয়েকজন সাঁওতাল নিহত হন। এ সময় সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ
করা হয়। সাঁওতালদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা
চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর আসক, ব্রতী সামাজিক কল্যাণ সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশন অব
ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একটি রিট করে।
0 comments:
Post a Comment