সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দেয় পুলিশ : আল-জাজিরা
আমাদের অর্থনীতি :
13.12.2016

যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি অনলাইন এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট করে। প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাঁওতাল আদিবাসীরা গত মাসে তাদের জমি ফিরে পেতে আন্দোলনে নেমেছিল, আর এ মাসে তাদেরকে গাছ তলায় বাস করতে হচ্ছে। প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, সাঁওতালরা তীর-ধনুক নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর হামলা করে। ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়, একজন পুলিশ ও সাদা পোশাকের দুই ব্যক্তি সাঁওতালদের ঘরে আগুন দিচ্ছে। প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটউটে চোখে রাবার বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসারত দ্বিজেন টুডুর সাক্ষাৎকারও দেখানো হয়।
গতকাল সোমবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাঁওতাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এরপর মাদারপুরে গির্জার সাঁওতালদের সঙ্গে এক সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশেই তীর, ধনুক, লাঠি হাতে আসেন সাঁওতালরা। কাজী রিয়াজুল হক সাঁওতালদের কাছে তীর, ধনুক নিয়ে আসার কারণ জানতে চান। জবাবে সাঁওতালরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা এভাবে এসেছেন। রিয়াজুল বিষয়টিকে নিজেদের জন্য লজ্জাজনক বলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি সবার জন্য ‘লজ্জার’।
গত ৭ নভেম্বর সাঁওতালদের সঙ্গে চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে দুই হাজারের উপর ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি ১৯৬২ সালে অধিগ্রহণ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল। সেই জমি ইজারা দিয়ে ধান ও তামাক চাষ করে অধিগ্রহণের চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার দখল ফিরে পেতে আন্দোলনে নামে সাঁওতালরা। সাঁওতালদের দাবি, ওই জমি তাদের বাপ-দাদার। অধিকৃত জমিতে আখ বাদে অন্য কিছু চাষ করা হলে শর্ত অনুযায়ী সেই জমি তাদেরকে ফিরিয়ে দেবার কথা ছিল।
সূত্র: পরিবর্তন ও আল-জাজিরা
http://amaderorthoneeti.net/new/2016/12/13/50022/#.WJBGrbkRM2w
0 comments:
Post a Comment